কলিকাতা হারবাল  যেসব কারণে পুরুষের যৌনশক্তি কমে

যেসব কারণে পুরুষের যৌনশক্তি কমে -  কলিকাতা হারবাল

August 21, 2019

 চল্লিশের আগেই কামশক্তি হারিয়ে ফেলছেন পুরুষরা জানতে চাইলে পড়ুন। ডাঃ মাহাবুবুর রহমান।

এখনকার সময়ে অনেক পুরুষই যৌনাকাঙ্ক্ষা কম হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যার পিছনে খাদ্যাভাস মারাত্মক প্রভাব থাকতে পারে। খাদ্যাভাস আপনার লিবিডোতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন বয়স বাড়তে থাকে তখন এই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 
তাই যেসব খাবার আপনার যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দেয় বা যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে সেগুলি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই ভালো। যেমন-
সয়া: 
সয়াবিন থেকে তৈরি বেশিরভাগ পণ্যই সাইটোয়েস্ট্রোজেন নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এটি পুরুষ ও নারীর দেহে হরমোনের ভারসাম্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী যারা সয়া পণ্য ভোগ করে তাদের মধ্যে যৌন আগ্রহ কম। তাই যেসব পুরুষ সন্তান গ্রহণের কথা ভাবছেন তারা খাদ্য তালিকা থেকে সয়া একদম বাদ দিয়ে দিন। কারণ সয়া শুক্রাণুর পরিমাণও কমিয়ে দেয়।
পুদিনা পাতা: সুগন্ধির জন্য পুদিনা পাতা অনেক বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু যৌন জীবনের জন্য এটি মোটেও ভালো নয়।
এটি শরীরে যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হরমোন টেসটোসটের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা শরীরকে ঠাণ্ডা করে দেয় এবং যৌন আগ্রহ কমিয়ে দেয়। তাই সুগন্ধির জন্য পুদিনা বাদ দিয়ে আদা খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। আদা অনেক ভালো।
কফি: 
কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড কার্যকর রাখে। তবে অতিমাত্রায় কফি খেলে হতে পারে বিপত্তি! এটি মূত্রথলির ক্ষতি করে এবং যৌন ও থাইরয়েড হরমোন ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।
পনির: 
গরুর দুধ থেকে তৈরি পনির এখন সুপার মার্কেটে খুবই সহজলভ্য। পনির ছাড়া অনেকের নাশতাই যেন জমে না। পনিরকে হরমোন ও অ্যান্টিবডি তৈরির কৃত্রিম উৎসও মনে করা হয়। তবে বেশি মাত্রায় পনির খেলে শরীরে এস্ট্রোজেন-জাতীয় পদার্থের নিঃসরণ হয়, যা মানুষের যৌন আকর্ষণ কমিয়ে দেয়। এমনকি এর প্রভাবে যৌনশক্তি লোপ পেতেও পারে।
যৌন শক্তি কমার আরও কিছু কারণ:
কমে যাচ্ছে ফার্টিলিটি:

আরও পড়ুন- 

ফার্টিলিটি বা উর্বরতা কমে যাওয়া আধুনিক সমাজে পুরুষদের মধ্যে ক্রমাগত দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে। স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার এই ব্যাপারটার পেছনে কারণ হিসেবে অতিরিক্ত কীটনাশক অন্যতম। ‘এন্ডরফিন’ নামের হরমোন কমিয়ে দিতে সক্ষম রাসায়নিক যেমন বিসফেনলসহ আরও অনেক রাসায়নিক, কৃত্রিম পদার্থ আমাদের দেহে ঢুকছে খাদ্য এবং পানির মাধ্যমে।
রাসায়নিক প্রভাবে পুরুষদের মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে 'নারীত্ব': 
ফথ্যালেট নামের এক ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে বেশি সময় কাটানোর কারণে পুরুষদের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ কমে যাচ্ছে এবং যৌনাঙ্গে দেখা দিচ্ছে অস্বাভাবিকতা। বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকে এসব ফথ্যালেট পাওয়া যায়। এমনকি গর্ভে অবস্থান করার সময়ে মায়ের শরীরেও যদি এর প্রভাব পড়ে, তবে ছেলের মধ্যে পুরুষসুলভ আচরণের ঘাটতি থাকবে।
'মেট্রোসেক্সুয়াল' অস্থিরতা: এখনকার সামাজিক অবস্থার কারণে, ভদ্র এবং নম্র দেখানোর চেষ্টায় অনেক পুরুষই পরিণত হয়েছেন “মেট্রোসেক্সুয়াল” মানুষে। এই পুরুষেরা একই নারীর সঙ্গে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার চিন্তায় শঙ্কিত হন এবং বারবার সঙ্গিনী পরিবর্তন করেন। ফলে সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা এবং নারীরাও জীবনে স্থায়ী হবার জন্য উপযুক্ত পুরুষসঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না। এসব পুরুষেরা একেবারেই ভুলে যান যে, অনেক সঙ্গিনীর রেকর্ড থাকা নয় বরং একজন নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকাটাই আসলে পৌরুষত্বের লক্ষণ।
যৌনশক্তি কমে সয়াবিনে
যৌনশক্তি কমে সয়াবিনে
এখনকার সময়ে অনেক পুরুষই যৌনাকাঙ্ক্ষা কম হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যার পিছনে খাদ্যাভাস মারাত্মক প্রভাব থাকতে পারে।
খাদ্যাভাস আপনার লিবিডোতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন বয়স বাড়তে থাকে তখন এই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই যেসব খাবার আপনার যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দেয় বা যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে সেগুলি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই ভালো। সয়া তাদের মধ্যে অন্যতম।
সয়াবিন থেকে তৈরি বেশিরভাগ পণ্যই সাইটোয়েস্ট্রোজেন নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এটি পুরুষ ও নারীর দেহে হরমোনের ভারসাম্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী যারা সয়া পণ্য ভোগ করে তাদের মধ্যে যৌন আগ্রহ কম। তাই যেসব পুরুষ সন্তান গ্রহণের কথা ভাবছেন তারা খাদ্য তালিকা থেকে সয়া একদম বাদ দিয়ে দিন। কারণ সয়া শুক্রাণুর পরিমাণও কমিয়ে দেয়।

চল্লিশের আগেই কামশক্তি হারিয়ে ফেলছেন পুরুষরা। 
চল্লিশের আগেই কামশক্তি হারিয়ে ফেলছেন পুরুষরা। নয়তো নানা যৌনসমস্যায় ভুগছেন। গত এক বছর ধরে ভারতের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২ লাখ পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রোফাইল টেস্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের সিমেন অ্যানালিসস (স্পার্ম কাউন্ট ও মরফোলজি) করে বিস্মিত হয়েছেন গবেষকরা। সাধারণত মধ্য পঞ্চাশ পর্যন্ত পুরুষের যৌন ক্ষমতা থাকে। কিন্তু, এখন পঞ্চাশও যাচ্ছে না। মধ্য চল্লিশের আগে পুরুষরা যৌনক্ষমতা হারাচ্ছেন।
গত এক বছর ধরে ভারতের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২ লাখ পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রোফাইল টেস্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের সিমেন অ্যানালিসস (স্পার্ম কাউন্ট ও মরফোলজি) করে বিস্মিত হয়েছেন গবেষকরা। সাধারণত মধ্য পঞ্চাশ পর্যন্ত পুরুষের যৌন ক্ষমতা থাকে। কিন্তু, এখন পঞ্চাশও যাচ্ছে না। মধ্য চল্লিশের আগে পুরুষরা যৌনক্ষমতা হারাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- 

ডালমিয়া মেডিকেয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, চল্লিশের আশপাশে বয়স এমন দু-লাখ পুরুষের মধ্যে ১৫%-ই কামশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। স্পার্ম কাউন্ট করতে গিয়ে দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ পুরুষের স্পার্মের সংখ্যা ১০ মিলিয়নেরও কম। যেখানে এখন সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট হওয়া উচিত ৪০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন।
সমীক্ষক দলের প্রধান ডাক্তার সুনীত যাদব জানান, পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও অস্বাভাবিক কম। দেখা গেছে, ৬০ শতাংশের বেশি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কম রয়েছে।
বর্তমান লাইফস্টাইলকেই এ জন্য দায়ী করছেন গবেষকরা। তাদের কথা অনুযায়ী, শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ও মিনারেলেরও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
জীবনের প্রতি সন্তুষ্টি ও যৌন সম্পর্ক
বয়স ও সক্ষমতার সঙ্গে জীবনের সন্তুষ্টি এবং যৌন সম্পর্ক ও এর ইচ্ছার (সেক্সুয়াল রিলেশন) বিপরীতমুখী সম্পর্ক দেখা যায়। যৌন সম্পর্ক ও এর ইচ্ছা হ্রাসমুখী হলে মানুষের মধ্যে জীবনের প্রতি সন্তুষ্টি বাড়তে থাকে। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এই হ্রাস বৃদ্ধি প্রায় একই হারে ঘটে। দেখা গেছে, নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ২০ থেকে ৪০-এর কয়েক বছর পরেও নারী ও পুরুষের যৌন সম্পর্ক ও এর ইচ্ছা প্রায় একই থাকে। ৪০ থেকে ৬০ বছরের মাঝামাঝি সময়ে মানুষের মধ্যে এটি হ্রাস পেতে শুরু করে। তবে নারীর মধ্যে এমন হ্রাসের হার বেশি থাকে। ৬০-এর পর যৌন সম্পর্ক ও এর ইচ্ছা নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। ৮০ বছরের কিছু পূর্বেই এটি সর্বনিম্নে নেমে আসে। অপরদিকে ২০-এর কিছু পূর্বেই জীবনের সন্তুষ্টি হ্রাস পেতে শুরু করে। ২০ থেকে ৪০-এর মাঝামাঝি এটি কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়। তবে ৪০-এর কিছু আগেই এটি হ্রাস পেতে শুরু করে। তবে ৪০ বছরের কিছু পর থেকেই জীবনের প্রতি সন্তুষ্টি ঊর্ধ্বমুখী হয়। ৬০ থেকে ৮০ বছরের মাঝামাঝি এর হার থাকে সর্বোচ্চ। তবে এর পর থেকে এটি হ্রাস পেতে থাকে।
স্মৃতি, জ্ঞান এবং জীবনের প্রতি সন্তুষ্টি ও যৌন সম্পর্কের চার্টভিত্তিক এই বিশ্লেষণ স্বাভাবিক জীবনযাপনকারী মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই থেকে বলা যায়, মানুষের যৌন সম্পর্ক ও এর ইচ্ছা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে ২০ বছরে। সর্বোচ্চ শারীরিক সক্ষমতা থাকে ৩০ বছরে। মানসিক শক্তি সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ পর্যন্ত। আর সুখী হতে থাকে ৬০ বছরে। তবে এগুলো সবই পর্যবেক্ষণভিত্তিক গড়। সবার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। এই সঙ্গে এখানে রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমাদের সবার উচিত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা। আর চেষ্টা থাকতে হবে বয়সের বাঁধাকে হারিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য যৌন শক্তি কমে
যৌনশক্তি কমে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে রোগি ও ডাক্তার উভয়ের জানা প্রয়োজন-
১. হৃৎপিন্ডের দূর্বলতার কারণে যৌনশক্তি কমে যায়।
২. বদহজমের কারণেও যৌনশক্তি কমে যায়। কেননা খাদ্য হজম না হওয়ার কারণে রক্ত তৈরী হয় না। আর রক্ত তৈরী না হলে বীর্যও তৈরী হবে না। এর কারণ হলো, বীর্যতো রক্ত থেকেই তৈরী হয়ে থাকে।
৩. যকৃত দুর্বল হওয়ার কারণে যৌনশক্তি কমে যায়। এর কারণ হলো, কলিজা হলো মানুষের শরীরের রক্ত প্রস্ততকারীর অন্যতম একটি উপাদান। বিশেষ করে যকৃতের কাজই হলো রক্ত তৈরী করা। যকৃত দুর্বলের লক্ষণ হলো-মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া। শরীরের রঙ হলদে হলদে হয়ে যাওয়া। সহবাসের সময় উত্তেজনা কমে যাওয়া। এসব যখন দেখা দিবে, তখন বুঝতে হবে যে, তার যকৃত দুর্বল হয়ে গেছে। 
৪. অনেক যুবকের মাঝে এ রোগটি বেশি দেখা যায়। তা হল, সে নিজেকে দুর্বল মনে করে। এর সবচেয়ে বেশি যে কারণটি পাওয়া যায়-তার ধারণা ‘আমি মনে হয় স্ত্রীর সাথে সহবাসে পরাজয় বরণ করব’। এ হল তার অন্তরের দুর্বলতা। এ মানসিক রোগ যখন তার মাঝে কাজ করতে থাকবে, তখন অটোমেটিক আসল সময়ে যৌনশক্তি কমে আসবে। সহবাসের ইচ্ছা করতেই হৃৎপিণ্ড ধক ধক করতে থাকে। সহবাসের সময় বা সহবাসের পর এসব লোকেরা হাঁপিয়ে উঠে হৃদয় ধক ধক করতে থাকে।

আরও পড়ুন- 

৫. আবার অনেকের মস্তিঙ্কের দুর্বলতার কারণেও যৌনশক্তি কমে যায়। যখন যৌনাঙ্গের শিরা দুর্বল হয়ে যায়, সব সময় রোগীর মাথায় ব্যাথা অনুভব করে কিংবা সহবাসের পর পরই অস্থিরতা অনুভব করে এবং চোখে অন্ধকার দেখে। সহবাসের পরই অধিক ক্লান্তি নেমে আসে। তাহলে বুঝতে হবে যে, তার মস্তিঙ্কের দুর্বলতা রয়েছে। যার কারণে তার যৌনশক্তি হ্রাস পেয়েছে।
৬. অনেক সময় পার্শ্ব’র দুর্বলতার কারণেও যৌনশক্তি কমে যায়। যদি কারো পাজরে ব্যাথা অনুভব হয় বা পার্শ্ব পরিবর্তন করলেই ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। বারংবার পেশাবের প্রয়োজন দেখা দেয়। যৌনাঙ্গের উত্তেজনা পূর্ণভাবে অনুভব না হয়। মাঝে মধ্যে ব্যাথা অনুভব হয়। তাহলে বুঝতে হবে যে, তার পার্শ্ব দুর্বলতার কারণেই তার যৌনশক্তি কমে গেছে।
যেসব কারণে যৌনশক্তি কমে
এখনকার সময়ে অনেক পুরুষই যৌনাকাঙ্ক্ষা কম হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যার পিছনে খাদ্যাভাস মারাত্মক প্রভাব থাকতে পারে। খাদ্যাভাস আপনার লিবিডোতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন বয়স বাড়তে থাকে তখন এই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই যেসব খাবার আপনার যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দেয় বা যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে সেগুলি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই ভালো। যেমন-
সয়া: সয়াবিন থেকে তৈরি বেশিরভাগ পণ্যই সাইটোয়েস্ট্রোজেন নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এটি পুরুষ ও নারীর দেহে হরমোনের ভারসাম্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী যারা সয়া পণ্য ভোগ করে তাদের মধ্যে যৌন আগ্রহ কম। তাই যেসব পুরুষ সন্তান গ্রহণের কথা ভাবছেন তারা খাদ্য তালিকা থেকে সয়া একদম বাদ দিয়ে দিন। কারণ সয়া শুক্রাণুর পরিমাণও কমিয়ে দেয়। 
পুদিনা পাতা: সুগন্ধির জন্য পুদিনা পাতা অনেক বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু যৌন জীবনের জন্য এটি মোটেও ভালো নয়। এটি শরীরে যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হরমোন টেসটোসটের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা শরীরকে ঠাণ্ডা করে দেয় এবং যৌন আগ্রহ কমিয়ে দেয়। তাই সুগন্ধির জন্য পুদিনা বাদ দিয়ে আদা খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। আদা অনেক ভালো।
কফি: কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড কার্যকর রাখে। তবে অতিমাত্রায় কফি খেলে হতে পারে বিপত্তি! এটি মূত্রথলির ক্ষতি করে এবং যৌন ও থাইরয়েড হরমোন ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।
পনির: গরুর দুধ থেকে তৈরি পনির এখন সুপার মার্কেটে খুবই সহজলভ্য। পনির ছাড়া অনেকের নাশতাই যেন জমে না। পনিরকে হরমোন ও অ্যান্টিবডি তৈরির কৃত্রিম উৎসও মনে করা হয়। তবে বেশি মাত্রায় পনির খেলে শরীরে এস্ট্রোজেন-জাতীয় পদার্থের নিঃসরণ হয়, যা মানুষের যৌন আকর্ষণ কমিয়ে দেয়। এমনকি এর প্রভাবে যৌনশক্তি লোপ পেতেও পারে।
যৌন শক্তি কমার আরও কিছু কারণ:
কমে যাচ্ছে ফার্টিলিটি: ফার্টিলিটি বা উর্বরতা কমে যাওয়া আধুনিক সমাজে পুরুষদের মধ্যে ক্রমাগত দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে। স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার এই ব্যাপারটার পেছনে কারণ হিসেবে অতিরিক্ত কীটনাশক অন্যতম। ‘এন্ডরফিন’ নামের হরমোন কমিয়ে দিতে সক্ষম রাসায়নিক যেমন বিসফেনলসহ আরও অনেক রাসায়নিক, কৃত্রিম পদার্থ আমাদের দেহে ঢুকছে খাদ্য এবং পানির মাধ্যমে। 
রাসায়নিক প্রভাবে পুরুষদের মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে ‘নারীত্ব’: ফথ্যালেট নামের এক ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে বেশি সময় কাটানোর কারণে পুরুষদের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ কমে যাচ্ছে এবং যৌনাঙ্গে দেখা দিচ্ছে অস্বাভাবিকতা। বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকে এসব ফথ্যালেট পাওয়া যায়। এমনকি গর্ভে অবস্থান করার সময়ে মায়ের শরীরেও যদি এর প্রভাব পড়ে, তবে ছেলের মধ্যে পুরুষসুলভ আচরণের ঘাটতি থাকবে।
‘মেট্রোসেক্সুয়াল’ অস্থিরতা: এখনকার সামাজিক অবস্থার কারণে, ভদ্র এবং নম্র দেখানোর চেষ্টায় অনেক পুরুষই পরিণত হয়েছেন “মেট্রোসেক্সুয়াল” মানুষে। এই পুরুষেরা একই নারীর সঙ্গে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার চিন্তায় শঙ্কিত হন এবং বারবার সঙ্গিনী পরিবর্তন করেন। ফলে সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা এবং নারীরাও জীবনে স্থায়ী হবার জন্য উপযুক্ত পুরুষসঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না। এসব পুরুষেরা একেবারেই ভুলে যান যে, অনেক সঙ্গিনীর রেকর্ড থাকা নয় বরং একজন নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকাটাই আসলে পৌরুষত্বের লক্ষণ।

প্রতিদিন ডাক্তারি সকল প্রকার সেবা পেতে আমার পেইজে লাইক দিন। এবং কমেন্ট করুন,ও সেয়ার করুন।
জীবনকে সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জীবনের জানা অজানা স্বাস্থ্য বিষয়ক ও রোগ বিষয়ে অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।পেইজে লাইক দিয়ে, শেয়ার করুন। এবং আপনার সমস্যা গুলো বলবে
সবাইকে একটা সু - খবর দিচ্ছি।

 


আমি এ পেইজ খুলেছি প্রায় আজ 12 বছর পূর্ণ হল। সবার অনেক অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। অনেক ভালো লাগে আপনাদের সাথে সময় কাটাতে। আমাকে ফোন করুন উক্ত নাম্বারে। 01971198888 উক্ত নাম্বারে ইমো হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবার অ্যাপস খোলা 
আজ থেকে আমার ইনবক্স চালু করেছি। আপনি আপনার অমস্যা নিয়ে আমাকে ম্যাসেজ করতে পারেন। আমি আপনাদের কে যথারিত উত্তর দিবো। এবং খুব শিগ্রই 
---------------------------------------------------------
বি:দ্র: আপনার কষ্টার্জিত অর্থ বিনষ্ট। না হওয়ার আগেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। ভালভাবে ডা: চেম্বার, ডা: এর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই বাচাই করে চিকিৎসা নিবেন। ফেইসবুকে বা অসত্য প্রচারনা থেকে এড়িয়ে চলুন।
সরাসরি যোগাযোগ-এর ঠিকানা
মোহাম্মদপুর বি.আর.টি.সি বাসস্ট্যান্ড আল্লাহ্ করিম মসজিদ মার্কেট ২য় তলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
হট লাইন-01763663333
ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান
ইমু নাম্বার 01971198888 বাংলাদেশের 

 

আরও পড়ুন- 

আপনার সাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে  সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কলিকাতা হারবাল কেয়ার  একটি আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র।

tag: 

 কলিকাতা হারবাল  কলিকাতা হারবাল কেয়ার   কলিকাতা হারবাল ডাক্তার  kolikata herbal care kolikata herbal kolikata herbal dhaka kolikata herbal doctor kolikata herbal medicine original kolikata herbal kolikata herbal treatment kolikata herbal mohammadpur popular kolikata harbal  কলিকাতা হারবাল ঔষধ