প্রতিটি মানুষই চায় বয়স কমিয়ে তরুণ থাকতে। তবে যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখার জন্য শুধু মাত্র শরীর ও ত্বক দেখতে তরুণ দেখালেই হবে না বরং শরীরের আভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গও তরুণ থাকতে হবে। সঠিক খাবার সঠিকভাবে গ্রহন করার মাধ্যমেই যৌবন ধরে রাখা সম্ভব। বাজারে এমন অনেক প্রসাধন বা ঔষধ রয়েছে যা ত্বকের তারুণ্য বা যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে কিন্তু এসব সামগ্রীর বেশির ভাগ গুলোতেই রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা ত্বকের জন্য ভালো নয়। এগুলোর অনেক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে সেই সাথে অনেক ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা স্থায়ীভাবে তারুণ্য ধরে রাখতে সক্ষম।
১. পানি- শরীরের সঠিক তারুণ্য ধরে রাখতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। এই পানির মাধ্যমেই শরীরের আভ্যন্তরীণ সমস্ত অস্বস্থিকর অবস্থা দূর করা সম্ভব। এটি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে এবং শরীরের স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পানি হচ্ছে আল্লাহ্র রহমতপূর্ণ একটি পানীয় যার রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাই তারুণ্য ধরে রাখতে প্রথমেই পানি দিয়ে শুরু করতে হবে।
২. সবুজ চা- তারুণ্য ধরে রাখতে বহুল প্রশংসিত একটি পানীয় হচ্ছে ভেষজ সবুজ চা। সবুজ চায়ে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপাদান ও খনিজ পদার্থ যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভাঁজহীন ত্বক এবং আভ্যন্তরীণ অবস্থা ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৩. গাঢ় রঙের সবুজ শাক সবজি- গাঢ় রঙের সবুজ শাক সবজি খাদ্য আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের শক্তির আধার। এসব খাবার হার্টকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া বেশির ভাগ সবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়াতে বেশি করে সবজি খেলে তা ত্বকে বার্ধক্য আসার গতিকে ধীর করে দেয়। বিশেষ করে সবুজ শাক সবজি যেমন পালং শাকে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বেশি করে সবজি খেতে পারেন এর পুষ্টিগুণের উপর নির্ভর করে সেটা কাঁচাই হোক বা রান্না করেই হোক।
৪. কালো ও লাল সিমের বিচি বা কিডনি বিন- তারুণ্য ধরে রাখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে কালো ও লাল সিমের বিচি বা কিডনি বিন। কারন এতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমানে খাদ্য আঁশ, পটাসিয়াম এবং প্রোটিন। এসব পুষ্টি উপাদান হার্টকে ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরে খুব ভালো পরিমানে পুষ্টি প্রদান করে।
আরও পড়ুন-
৫. গাজর- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে, গাজর ত্বকের জন্য খুবই উপকারি এবং প্রচুর পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। ভিটামিন এ এর একটি শক্তিশালী উৎস হচ্ছে গাজর এবং তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা ত্বকের কোষ বিনষ্টকারী ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গাজর অকালে বলিরেখা পরা থেকে রক্ষা করে।
৬. টমেটো- আমরা সাধারণত জানি যে টমেটোতে থাকে লাইকোপিন যা হৃদরোগের সম্ভাবনাকে কমায়। এছাড়া সূর্যের আলোর পোড়া ভাব কমাতে টমেটোর জুড়ি নেই। লাইকোপিন ত্বকের পোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ত্বকের কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বককে করে তোলে মসৃণ এবং দাগমুক্ত। টমেটো তে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও।
৭. সয়াবিন- বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় এই সবজিটি অনেকে খায় না বা খেতে কেমন লাগবে ভেবে এড়িয়ে চলে কিন্তু প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই সবজিটিতে অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থও রয়েছে। এই সবজিকে সুপার ফুড বলা যায় কারন অসুস্থতা এবং রোগের বিরুদ্ধে এর বেশ শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। তাই এটি ত্বকের সুস্থতা এবং তারুন্যও বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৮. আপেল- কথায় আছে দিনে একটি আপেল ডাক্তার থেকে দূরে রাখে এবং সেই সাথে বার্ধক্য থেকেও দূরে রাখে। আপেলে থাকা পলিফেনল ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে যা কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করা ও অকাল বার্ধক্যের জন্য দায়ী। এছাড়া আপেলে রয়েছে উচ্চ আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
৯. বেরি- বেরি জাতীয় ফল গুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এরা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মত গারো রঙের বেরি ফলগুলো ত্বকে বয়সের ছাপ পরতে বাধা দেয়। এইসব বেরি ফল গুলো ভিটামিন সিতে ভরপুর তাই এগুলো ত্বকের জন্যও ভালো। উচ্চ ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ব্লুবেরি শরীরে বার্ধক্যের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ত্বকের ফোলা ভাব কমায়।
১০. অ্যাভোকাডো- এই ফলটি যদিও আমাদের দেশীয় ফল নয় কিন্তু আমাদের দেশে পাওয়া যায়। এটি হচ্ছে তারুণ্য ধরে রাখার একটি খাবার। উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ই, পটাসিয়াম, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলটি শুধু ত্বক ও শরীরকেই রক্ষা করে না বরং এটি মৃত ও ভগ্ন কোষকে পুনর্গঠনে সহায়তা করে। তাছাড়া এটি ত্বককে সবসময় সতেজ দেখানোর জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
১১. ডার্ক চকলেট- চকলেটের নাম দেখে অনেকেই হয়তো অবাক হবেন কিন্তু সেটা অবশ্যই হতে হবে ডার্ক চকলেট। কোকো প্রোটিন ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি উৎসও যা চুলের গুনগত মান ভালো করে। এই চকলেটটি নিয়মিত খেলে ত্বকের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং এটি উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তাই এটি ত্বকে বলিরেখা পরতে বাধা দেয়। এছাড়া এটি শরীরের বাড়তি চর্বি পুড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
১২. আলু বোখারা- আলু বোখারার রয়েছে প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ ও বার্ধক্য বিরোধী গুনাগুন যা সারা বিশ্ব জুড়ে বয়স্ক মানুষের কাছে সমাদৃত। এছাড়া এই ফলটি উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খাদ্য আঁশ এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। তাজা বা শুকনো যেকোনো ভাবেই এটি খাওয়া হোক না কেন এই ফলটি তারুণ্য ধরে রাখার অন্যতম একটি খাবার।
আরও পড়ুন-
চিরকাল যৌবন ধরে রাখার গোপন কিছু কৌশল।
অল্পতেই দেহে বয়সের ছাপ পড়ে গেলে আফসোস করেও ফিরিয়ে আনা যায় না কিছুই। নিয়মিত কিছু উপায় মেনে চললে অনেকটা সময় ধরে রাখতে পারা যায় যৌবন। বয়স হলেও দেহে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে বেশ দেরিতে। জানতে চান সেই গোপন উপায় গুলো? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
অল্পতেই বুড়িয়ে যাওয়া কেউই পছন্দ করেন না। একটু বয়স বাড়তে না বাড়তেই যখন ত্বকে পড়ে বয়সের ছাপ এবং দেহের বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় বয়সজনিত সমস্যা তখন অনেকেই আফসোস করেন, ‘যৌবনটা আরও কিছুদিন যদি ধরে রাখা যেতো’। কিন্তু আফসোস করে কোনো কিছুই ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। তাই সতর্ক হওয়া উচিত তরুণ বয়স থেকেই। সতর্কতার সাথে নিয়মিত কিছু উপায় মেনে চললে অনেকটা সময় ধরে রাখতে পারবেন যৌবন। বয়স হলেও দেহে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে বেশ দেরিতে। জানতে চান সেই গোপন উপায় গুলো? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) মাছের তেল
মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা দেহে বয়সের ছাপ রুখে দিতে সক্ষম। এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করেন, কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেম ঠিক রাখে, চুলের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ রোধ করে। সুতরাং আপনি দেখতে যেমন তরুণ দেখাবেন তেমনই আপনার দেহও তারুণ্য অনুভব করবে। আপনি ভালো কোনো মাছের তেল পরিমিত খেতে পারেন নতুবা সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন মাছ রাখুন খাদ্যতালিকায়।
২) চিনিকে না বলুন
ডারমাটোলজিস্ট আভা সাম্ভান বলেন, ‘প্রসেসড চিনি, যা আমরা হরহামেশা খাই তা আমাদের ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। কারণ, প্রসেসড চিনি আমাদের ত্বকের কোলাজেন টিস্যু দুর্বল করে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয়’। সুতরাং চিনিকে একেবারেই না বলুন।
৩) পরিশ্রম করুন
চলাফেরা, হাঁটাহাঁটি, শারীরিক ব্যায়াম যেভাবেই হোক না কেন পরিশ্রম করুন নিজের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। শারীরিক পরিশ্রম পুরো দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পুরো দেহে সঠিক উপায়ে অক্সিজেনের সরবরাহ করে। এতে আমাদের দেহের প্রায় প্রতিটি কোষ সজীব হয় এবং আমাদের দেহ অনেক সুঠাম হয়। দেহে বার্ধক্য জনিত সমস্যা অনেক কম দেখা দেয়।
৪) তিলের তেল
মে ফ্লাওয়ার ইন অ্যান্ড স্পা এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং মালিক লিসা হেডলি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে তিলের তেল পুরো দেহের ত্বকে ম্যাসেজ করলে শুধু ত্বকই হাইড্রেট হয় না এর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। এরপর ভালো করে গোসল করে নিলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয় এবং ত্বক থাকে তরুণ অনেকটা সময় ধরে।
৫) গ্রিন টী
চা/কফি কমবেশি সকলেই পান করে থাকেন। কিন্তু যদি তারুণ্য ধরে রাখতে চান দেহে এবং ত্বকে তাহলে এর পরিবর্তে পান করা শুরু করুন গ্রিন টী। গ্রিন টীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে।
৬) মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন
মানসিক চাপের কারণে ত্বকে বিশেষ করে মুখের ত্বকে রিংকেল পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ধরা হয় মানসিক চাপকে। মানসিক চাপ শুধুমাত্র ত্বকেই বয়সের ছাপ ফেলে না এটি আপনার দেহকেও বুড়িয়ে ফেলে। মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করার বেশ বড় একটি কারণ। এছাড়া অনেকেই মানসিক চাপে পড়লে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই মানসিক চাপ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকুন।
আরও পড়ুন-
যৌবন ধরে রাখতে ১৭টি টিপসঃ ১. সপ্তাহে তিন দিন রাতে ভালো মানের মধু খান ও চেহারায় মাখে ধুয়ে ফেলুন। ২. অবশ্যই নিয়মমাফিক পানি পান করুন। ৩. অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। ৪. পছন্দের বা বিনোদনমূলক স্থানগুলো ভ্রমণ করুন। ৫. ছলনা করেন না।ভালোবাসায় ছলনা আপনাকে অচিরেই বুড়িয়ে দেবে। ৬.প্রেমিকা বা প্রেমিকের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। ৭. নিজের চেয়ে বয়স বেশি, এমন মানুষের সঙ্গে সময় কাটান বেশি বেশি। ৮. ইতিবাচক চিন্তা করুন। নেতিবাচক চিন্তা চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলে। ৯. চোয়াল খানিক এলিয়ে থাকতে দিন।মুখের ভারিক্কি ভাব দূর হয়ে যাবে। ১০.শিরদাঁড়া সোজা রেখে দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করুন। ১১. সুযোগ পেলে নাচুন। ১২. বেশি বেশি মন খুলে হাসুন। ১৩. মন থেকে ভালোবাসুন বই, গাছ, আকাশ। ১৪. সবসময় উদ্যমী ও প্রাণবন্ত থাকুন। ১৫. নিয়ম করে ঘুমান। ১৬. বৃক্ষজাত খাবার বেশি খান। ১৭. মুটিয়ে যাবেন না কখনই। মুটিয়ে যাওয়া মানেই নিজেকে বয়সী করে তোলা।
যৌবনকে কিভাবে অনেক দিন ধরে রাখা যায়?
সতর্কতার সাথে নিয়মিত কিছু উপায় মেনে চললে অনেকটা সময় ধরে রাখতে পারবেন যৌবন। বয়স হলেও দেহে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে বেশ দেরিতে। জানতে চান সেই গোপন উপায় গুলো? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) মাছের তেল
মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা দেহে বয়সের ছাপ রুখে দিতে সক্ষম। এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করেন, কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেম ঠিক রাখে, চুলের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ রোধ করে। সুতরাং আপনি দেখতে যেমন তরুণ দেখাবেন তেমনই আপনার দেহও তারুণ্য অনুভব করবে। আপনি ভালো কোনো মাছের তেল পরিমিত খেতে পারেন নতুবা সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন মাছ রাখুন খাদ্যতালিকায়।
২) চিনিকে না বলুন
ডারমাটোলজিস্ট আভা সাম্ভান বলেন, ‘প্রসেসড চিনি, যা আমরা হরহামেশা খাই তা আমাদের ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। কারণ, প্রসেসড চিনি আমাদের ত্বকের কোলাজেন টিস্যু দুর্বল করে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয়’। সুতরাং চিনিকে একেবারেই না বলুন।
৩) পরিশ্রম করুন
চলাফেরা, হাঁটাহাঁটি, শারীরিক ব্যায়াম যেভাবেই হোক না কেন পরিশ্রম করুন নিজের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। শারীরিক পরিশ্রম পুরো দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পুরো দেহে সঠিক উপায়ে অক্সিজেনের সরবরাহ করে। এতে আমাদের দেহের প্রায় প্রতিটি কোষ সজীব হয় এবং আমাদের দেহ অনেক সুঠাম হয়। দেহে বার্ধক্য জনিত সমস্যা অনেক কম দেখা দেয়।
৪) তিলের তেল
মে ফ্লাওয়ার ইন অ্যান্ড স্পা এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং মালিক লিসা হেডলি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে তিলের তেল পুরো দেহের ত্বকে ম্যাসেজ করলে শুধু ত্বকই হাইড্রেট হয় না এর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। এরপর ভালো করে গোসল করে নিলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয় এবং ত্বক থাকে তরুণ অনেকটা সময় ধরে।
৫) গ্রিন টী
চা/কফি কমবেশি সকলেই পান করে থাকেন। কিন্তু যদি তারুণ্য ধরে রাখতে চান দেহে এবং ত্বকে তাহলে এর পরিবর্তে পান করা শুরু করুন গ্রিন টী। গ্রিন টীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে।
৬) মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন
মানসিক চাপের কারণে ত্বকে বিশেষ করে মুখের ত্বকে রিংকেল পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ধরা হয় মানসিক চাপকে। মানসিক চাপ শুধুমাত্র ত্বকেই বয়সের ছাপ ফেলে না এটি আপনার দেহকেও বুড়িয়ে ফেলে। মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করার বেশ বড় একটি কারণ। এছাড়া অনেকেই মানসিক চাপে পড়লে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই মানসিক চাপ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকুন।
দীর্ঘ দিন তারন্য দরে রাখা অসম্ভব কিছুইনয়। চেষ্টা করেইদেখুন:•
খাবারেরতালিকায় টমেটো রাখুন।নিয়মিতটমেটোখাওয়ারঅভ্যাস বর্তমানবয়স থেকে কমবয়সী দেখায়•সঙ্গীরসঙ্গে শারীরিকএবং মানসিকসুসম্পর্কথাকলেবয়স অনেককম দেখায়•প্রতিদিন ৩০মিনিট ব্যায়ামকরুন•চকলেট পছন্দকরেন? প্রতিদিনচকলেট খেলে বয়সকম দেখাবে•মনখুলে হাসতে পারলে আয়ুবাড়ে•প্রতিদিন ফলখাওয়ার অভ্যাসকরুন•প্রচুর পানি পানকরতে হবে•সঠিকখাদ্যাভ্যাসগড়ে তুলুন•ভিটামিন জাতীয়খাবার প্রচুরপরিমাণে খেলে বয়সকম দেথায়•সুন্দর হাসির জন্যপ্রয়োজন সুস্থ দাঁত।দাঁতের সঠিক যত্ননিলে বয়স কমদেখাবে•সকালে নিয়মিতসকালেরনাস্তা খান•রাতে খুব ভালো ঘুমআয়ুবাড়িয়ে দিতে পারে•নিয়মিতযে কোনো ধরনেরবাদাম আমাদেরত্বক সজীব রাখে•দুশ্চিন্তা এবং হতাশা আমাদেরজীবনী শক্তি কমিয়ে দেয়।আরবয়সের তুলনায়আমাদেরবুড়ো দেখায়।
যৌবন ধরে রাখতে ১৫টি সবচেয়ে সেরা ও সহজ নিয়ম।
আরও পড়ুন-
বয়স বাড়বেই, সেটাকে আপনি ধরে রাখতে পারবেন না। কিন্তু বয়সের ছাপ শরীরে বা চেহারায় পড়তে দেবেন কেন? বেড়ে চলা বয়স কেবল যে আপনার সৌন্দর্যকেই প্রভাবিত করে, তা কিন্তু নয়। প্রভাব ফেলে আপনার শরীরে, মনে, আপনার দাম্পত্য জীবন সহ কমবেশি সকল সম্পর্কেই। বয়স বাড়ছে বাড়ুক, কিন্তু নিজের শরীর ও চেহারাকে রাখুন চিরতরুণ। ধরে রাখুন নিজের যৌবন খুব সহজ এই ১৫টি নিয়মে।
১) নিজের খাদ্য তালিকাকে বদলে ফেলুন। খাদ্য তালিকায় যোগ করুন অধিক আঁশ যুক্ত খাবার। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাবেন না। পরিমিত প্রোটিন ও প্রচুর সবজি ও ফল যোগ করুন খাদ্য তালিকায়।
২) দৈনিক অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। সকালের পরিষ্কার বাতাসে করতে পারল আরও ভালো।
৩) উপুড় হয়ে বা কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে মুখে খুব সহজে বলিরেখা পড়ে যায়।
৪) দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি বা পানি জাতীয় খাবার পান করুন।
৫) অতি অবশ্যই কোমল পানীয় পান ত্যাগ করুন। একই সাথে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবারও পরিহার করুন।
৬) ভুলেও ধূমপান করবেন না বা মদ্যপান করবেন না।
৭) সানস্ক্রিন ব্যভারকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এই চমত্কার জিনিসটি আসলে আপনার যৌবন ধরে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক।
৮) নিজের স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে যোগ ব্যায়াম সহ আরও যা যা করা সম্ভব করুন।
৯) মুখে কখনো সাবান মাখবেন না। এতে চেহারা অকালেই বুড়িয়ে যায়।
১০) মুখের যত্ন করার পাশাপাশি হাত ও পায়ের যত্ন করতেও ভুলবেন না। নিয়মিত পেডিকিউর ও মেনিকিউর করুন।
১১) চোখ ও এর চারপাশের এলাকার বেশী যত্ন করুন। ভালো করে ঘুমাবেন, কোন বাজে মেকআপ বা পণ্য ব্যবহার করবেন না। চোখের পাশের তোকে হাতের আঙ্গুল বা তোয়ালে দিয়ে ঘষবেন না। এই এলাকাগুল খুবই নরম বিধায় সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হিয় ও চেহারায় বলি রেখা পড়ে।
১২) প্রচুর ঘুমাবেন। শরীরকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেবেন। এবং ঘুম যেন আরামের হয় সেটা লক্ষ্য রাখবেন।
১৩) গরম পানি দিয়ে বেশী সময় ধরে এবং নিয়মিত গোসল করবেন না। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়েই গোসল সারুন।
১৪) মুখ বা হাত পায়ের ত্বকে খুব বেশী স্ক্রাবিং করবেন না।
১৫) বাইরে থেকে ফিরে মুখ ও দেহ পরিষ্কার না করে ঘুমাবেন না। মুখে মেকআপ সহ তো মোটেও না।
প্রতিদিন ডাক্তারি সকল প্রকার সেবা পেতে আমার পেইজে লাইক দিন। এবং সেয়ার করুন।
জীবনকে সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জিবনের জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।পেইজে লাইক দিয়ে, শেয়ার করুন।.
আপনি কি দাম্পত্য জীবন নিয়ে চিন্তিত? অথবা বিবাহিত জীবন নিয়ে অশান্তিতে ভোগছেন? আর দূর্চিন্তা নয় আপনার সব ব্যর্থতা দুর করতে আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে আপনার সাথে,যে কোন সেবা পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন
আরও পড়ুন-
আপনার সাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কলিকাতা হারবাল কেয়ার একটি আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র।
tag:
কলিকাতা হারবাল কলিকাতা হারবাল কেয়ার কলিকাতা হারবাল ডাক্তার kolikata herbal care kolikata herbal kolikata herbal dhaka kolikata herbal doctor kolikata herbal medicine original kolikata herbal kolikata herbal treatment kolikata herbal mohammadpur popular kolikata harbal কলিকাতা হারবাল ঔষধ