কলিকাতা হারবাল বিভিন্ন কারণে পুরুষ এবং মহিলাদের গোসল ফরজ হয়। আর এই ফরজ গোসল ইসলামি জীবন বিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

বিভিন্ন কারণে পুরুষ এবং মহিলাদের গোসল ফরজ হয়। আর এই ফরজ গোসল ইসলামি জীবন বিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় - কলিকাতা হারবাল

September 13, 2019

বিভিন্ন কারণে পুরুষ এবং মহিলাদের গোসল ফরজ হয়। আর এই ফরজ গোসল ইসলামি জীবন বিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কারণ হলো কারো ওপর গোসল ফরজ হলে সঠিক-শুদ্ধ পদ্ধতিতে গোসল আদায় না করা পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি নাপাক থাকবেন। আর এই নাপাকি অবস্থায় তার কোনো প্রকারের কোনো ইবাদত-বন্দেগি করার ইসলামে কোন অনুমতি নেই।
সুতরাং সঠিক-শুদ্ধভাবে এবাদত বন্দেগী ও আমল করার জন্য শারীরীকভাবে পবিত্র থাকার উদ্দেশ্য গোসল ফরজ হওয়ার কারণ, ফরজ গোসলের ফরজ, সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমরসহ ফরজ গোসল করার পদ্ধতি সবার জানা থাকা একান্ত দরকার এবং জরুরি।
যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ
১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
২. নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।
৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।
৪. ইসলাম গ্রহন করলে(নব-মুসলিম হলে)
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে পেলতে হবে। 
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে তবে দুই পা ধুয়া যাবে না। 
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
মনে রাখতে হবেঃ

আরও পড়ুন-  

আমাদের লেখাটি আপনারই যদি ভালো লাগে তাহলে 
লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন পেজ এ।
নইলে আমরা হারিয়ে যাব আপনার ওয়াল থেকে। 
প্রশ্ন: আমি জানি না নারীদের থেকে নির্গত তরলকে কখন বীর্য ধরা হয়; যার ফলে গোসল ফরয হয়। আর কখন সেটাকে সাধারণ স্রাব ধরা; যার ফলে ওজু ফরয হয়। আমি একাধিকবার বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ আমাকে যথাযথ জবাব দেয়নি। তাই আমি নির্গত সকল তরলকে সাধারণ স্রাব ধরি; যা বের হলে গোসল ফরয হয় না। আমি শুধু সঙ্গম করা ছাড়া গোসল করি না। আশা করব, আপনার এ দুটোর মধ্যকার পার্থক্য পরিস্কারভাবে উল্লেখ করবেন।
উত্তর  
আলহামদুলিল্লাহ।
নারীর জরায়ু থেকে নির্গত তরল হতে পারে বীর্য, হতে পারে মযী বা কামরস, হতে পারে সাধারণ স্রাব। এ তিনটির প্রত্যেকটির রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও প্রত্যেকটির রয়েছে স্বতন্ত্র বিধিবিধান।
বীর্য এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-
১। হলুদ রঙের পাতলা। এ বৈশিষ্ট্যটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে- “নিশ্চয় পুরুষের পানি ঘন সাদা। আর মহিলার পানি পাতলা ও হলুদ রঙের।”[সহহি মুসলিম (৩১১)]
২। বীর্যের গন্ধ গাছের মঞ্জরির মত। আর মঞ্জরির গন্ধ ময়দার খামিরের কাছাকাছি।
৩। সুখানুভূতির সাথে বের হওয়া এবং বের হওয়ার পর যৌন নিস্তেজতা আসা।
এ তিনটি বৈশিষ্ট্য একত্রে পাওয়া শর্ত নয়। বরং একটি পাওয়া গেলেই সে তরলকে বীর্য হিসেবে সাব্যস্ত করা হবে। ইমাম নববী তাঁর ‘আল-মাজমু’ নামক গ্রন্থে (২/১৪১) এ কথা বলেছেন।
কামরস:
সাদা স্বচ্ছ পিচ্ছিল পানি। যৌন উত্তেজনার সময় এটি বের হয়; যৌন চিন্তার ফলে কিংবা অন্য কোন কারণে। এটি বের হওয়ার সময় সুখানুভূতি হয় না এবং এটি বের হওয়ার পর যৌন নিস্তেজতা আসে না।
সাদা স্রাব:
গর্ভাশয় থেকে নির্গত পদার্থ, যা স্বচ্ছ। হতে পারে এটি বের হওয়ার সময় নারী টেরও পায় না। এক মহিলা থেকে অপর মহিলার ক্ষেত্রে এটি বের হওয়ার পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
পক্ষান্তরে, এ তিনটি তরল (বীর্য, কামরস ও স্রাব) এর মাঝে হুকুমগত দিক থেকে পার্থক্য হচ্ছে-
বীর্য পবিত্র। বীর্য কাপড়ে লাগলে সে কাপড় ধোয়া ফরয নয়। তবে, বীর্য বের হলে গোসল ফরয হয়; সেটা ঘুমের মধ্যে বের হোক কিংবা জাগ্রত অবস্থায়; সহবাসের কারণে বের হোক কিংবা স্বপ্নদোষের কারণে কিংবা অন্য যে কোন কারণে।
আর কামরস বা মযী নাপাক। এটি শরীরে লাগলে ধুয়ে ফেলা ফরয। কাপড়ে লাগলে কাপড় পবিত্র করার জন্য পানি ছিটিয়ে দেয়া যথেষ্ট। কামরস বের হলে ওজু ভেঙ্গে যাবে। কামরস বের হওয়ার কারণে গোসল ফরয হয় না।
পক্ষান্তরে, স্রাব পবিত্র। এটি ধৌত করা কিংবা কাপড়ে লাগলে সে কাপড় ধৌত করা আবশ্যক নয়। তবে, এটি ওজু ভঙ্গকারী। তবে এটা যদি চলমানভাবে বের হতে থাকে তাহলে সে মহিলা প্রত্যেক নামাযের জন্য ওয়াক্ত হওয়ার পর নতুন করে ওজু করবে। ওজু করার পর স্রাব বের হলেও কোন অসুবিধা নেই।
ইসলামে গোসল ফরজ হওয়ার কারণ ও গোসলের মাসায়েল
গোসলের আভিধানিক অর্থ
কোনো কিছুর ওপর পানি পূর্ণাঙ্গরূপে বাইয়ে দেয়া।
শরয়ী পরিভাষায় গোসলের অর্থ
আল্লাহ তাআলার ইবাদতের উদ্দেশে সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গরূপে শরীর ধৌত করা।
গোসল ফরজ হওয়ার কারণসমূহ
১-বীর্যপাত
বীর্য হলো: গাড়-সাদা পানি যা যৌন-উত্তেজনাসহ ঠিকরে বের হয়, যারপর শরীর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বীর্য গন্ধে অনেকটা পঁচা ডিমের মতো। ইরশাদ হয়েছে :
( وَإِن كُنتُمۡ جُنُبٗا فَٱطَّهَّرُواْۚ ) (আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও) [ সূরা আল মায়েদা:৬] আলী রাযি. বলেছেন, ‘তুমি যদি সজোরে পানি নির্গত করো, তবে গোসল করো।’ 
(বর্ণনায় আবু দাউদ) 
মাসায়েল
১- যদি কারো স্বপ্নদোষ হয় আর বীর্যপাত না ঘটে, তবে গোসল ফরজ হবে না। যদি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর বীর্যপাত ঘটে তবে গোসল ফরজ হবে।২- কেউ যদি বীর্য দেখতে পায় আর স্বপ্নদোষের কথা মনে না থাকে, তবে গোসল ফরজ হবে। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘পানি তো পানির জন্য’(বর্ণনায় মুসলিম) অর্থাৎ বীর্যপাত হলে গোসল ফরজ হবে’।
৩- যদি পুরষাঙ্গে বীর্যের স্থানান্তর অনুভূত হয়, আর বীর্য বের না হয় তবে গোসল ফরজ হবে না।
৪- যদি কারো অসুস্থতার কারণে উত্তেজনা ব্যতীত বীর্যপাত ঘটে তবে গোসল ফরজ হবে না।
৫- যদি গোসল ফরজ হওয়ার পর গোসল করে নেয় এবং গোসলের পর বীর্য বের হয়, তাহলে পুনরায় গোসল করতে হবে না। কেননা এ সময় সাধারণত উত্তেজনা ব্যতীত বীর্য নির্গত হয়। এ অবস্থায় সতর্কতার জন্য অজু করে নেয়াই যথেষ্ট হবে  
৬- যদি ঘুম থেকে জাগার পর আদ্রতা দেখা যায়, এবং কারণ মনে না থাকে, তবে এর তিন অবস্থা হতে পারে:
ক - আদ্রতা যে বীর্য থেকে নয় এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হলে গোসল ফরজ হবে না। বরং এ আদ্রতার হুকুম হবে পেশাবের ন্যায়।
খ- বীর্য কি না এ ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হলে যাচাই করে দেখতে হবে। যদি এমন বিষয় মনে করা সম্ভব হয় যা উক্ত আদ্রতা বীর্য থেকে হওয়ার সম্ভাবনাকে পোক্ত করে দেয়, তবে তা বীর্য বলেই গণ্য হবে। আর যদি এমন বিষয় মনে করা সম্ভব হয় যা উক্ত আদ্রতা যে মযী তার সম্ভাবনাকে পোক্ত করে দেয়, তবে তা মযী বলেই গণ্য হবে।

আরও পড়ুন-  

গ - আর যদি কোনো কিছুই মনে করতে না পারা যায়, তাহলে সতর্কতার জন্য গোসল করা জরুরি।
৭- যদি বীর্য দেখা যায় কিন্তু কখন স্বপ্নদোষ হয়েছে তা মনে না থাকে, তাহলে গোসল করতে হবে এবং সর্বশেষ ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর যত নামাজ আদায় করা হয়েছে তা পুনরায় পড়তে হবে।
২-সঙ্গম ঘটলে 
পুরষাঙ্গ ও যোনির সম্মিলনকে সঙ্গম বলে। আর এটা ঘটে পুরষাঙ্গের পুরো অগ্রভাগ যোনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ফলে। এতটুকু হলেই সঙ্গম বলে ধরা হবে এবং বীর্যপাত না ঘটলেও গোসল ফরজ হয়ে যাবে। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘নারী ও পুরুষের গুপ্তাঙ্গের সম্মিলন ঘটলেই গোসল ফরজ হয়ে যাবে।’(বর্ণনায় তিরমিযী)
৩ - কাফির ব্যক্তি মুসলমান হলে
এর প্রমাণ কায়েস ইবনে আসেম যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে গোসল করার নির্দেশ দেন।(বর্ণনায় আবু দাউদ)
৪ - হায়েয ও নিফাস বন্ধ হলে
আয়েশা রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফাতিমা বিনতে আবি হুবাইশ রাযি. কে বলেন, ‘হায়েয এলে নামাজ ছেড়ে দাও, আর হায়েয চলে গেলে গোসল করো ও নামাজ পড়ো।’ নিফাস হলো হায়েয এর মতো, এ ব্যাপারে কারো দ্বীমত নেই।(বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম) 
৫ - মৃত্যু ঘটলে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কন্যা যায়নাব রাযি. এর মৃত্যুর পর তিনি বলেছেন, ‘তাকে তিনবার গোসল দাও, অথবা পাঁচবার অথবা তারও বেশি যদি তোমরা ভালো মনে করো।’(বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)
গোসলের বিবরণ
গোসলের ক্ষেত্রে ফরজ হলো গোসলের নিয়তে সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ধোয়া। তা যেভাবেই হোক না কেন। তবে মুস্তাহাব হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গোসলের অনুসরণ করা। উম্মুল মুমিনীন মায়মুনা রাযি. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবত থেকে গোসলের জন্য পানি রাখলেন। অতঃপর তিনি ডান হাত দিয়ে বাম হাতে দুই অথবা তিনবার পানি ঢাললেন। এরপর তিনি তাঁর গুপ্তাঙ্গ ধৌত করলেন। এরপর তিনি জমিনে অথবা দেয়ালে দুই অথবা তিনবার হাত মারলেন। অতঃপর তিনি কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। তিনি তাঁর চেহারা ও দুই বাহু ধৌত করলেন। এরপর তিনি মাথায় পানি ঢাললেন। শরীর ধৌত করলেন। তিনি তাঁর জায়গা থেকে সরে গেলেন এবং দু’পা ধৌত করলেন। বর্ণনাকারী বলেন,‘এরপর আমি একটি কাপড়ের টুকরা নিয়ে এলাম। অবশ্য তিনি তা চাইলেন না। তিনি তাঁর হাত দিয়েই পানি ঝেড়ে ফেলতে শুরু করলেন।’(বর্ণনায় বুখারী)
সে হিসেবে গোসল করার পদ্ধতি হলো:
১- দুই অথবা তিনবার কব্জি পর্যন্ত দু’হাত ধোয়া।
২- গুপ্তাঙ্গ ধোয়া।
৩- জমিন অথবা দেয়ালে দুই অথবা তিনবার হাত মারা।
৪- নামাজের অজুর ন্যায় অজু করা, তবে মাথা মাসেহ ও পা ধোয়া ব্যতীত।
৫- মাথায় পানি ঢালা।
৬- সমস্ত শরীর ধোয়া।
৭- যেখানে দাঁড়িয়ে গোসল করা হয়েছে সেখান থেকে সরে গিয়ে পা ধোয়া ।
জুনুবী ব্যক্তির ওপর যা হারাম
১- নামাজ
দলিল, আল-কুরআনের আয়াত:

(يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَقۡرَبُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنتُمۡ سُكَٰرَىٰ حَتَّىٰ تَعۡلَمُواْ مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغۡتَسِلُواْۚ )

{হে মুমিনগণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা বুঝতে পার যা তোমরা বল এবং অপবিত্র অবস্থায়ও না, যতক্ষণ না তোমরা গোসল কর, তবে যদি তোমরা পথ অতিক্রমকারী হও।} [আন-নিসা:৪৩]
২- বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করা
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘বায়তুল্লাহর তাওয়াফ হলো নামাজতুল্য’।
(বর্ণনায় নাসায়ী)
৩- কুরআন স্পর্শ করা। 
এর দলিল, আল কুরআনের আয়াত,

(لَّا يَمَسُّهُۥٓ إِلَّا ٱلۡمُطَهَّرُونَ ) {কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া।}[সূরা আল ওয়াকিয়া:৭৯], হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পবিত্রতা ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না’।(হাদীসটি ইমাম মালিক তাঁর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।)
৪– কুরআন পড়া
আলী রাযি. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইস্তেন্জা সেরে বের হয়ে আসতেন, তিনি আমাদেরকে কুরআন পড়ে শোনাতেন, আমাদের সাথে গোশত খেতেন, জানাবত ব্যতীত কোনো কিছু তাঁকে কুরআন থেকে বারণ করত না’
৫- মসজিদে অবস্থান করা, তবে যদি হেঁটে অতিক্রম করে যাওয়া হয় তার কথা ভিন্ন
ইরশাদ হয়েছে:

(يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَقۡرَبُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنتُمۡ سُكَٰرَىٰ حَتَّىٰ تَعۡلَمُواْ مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغۡتَسِلُواْۚ)
{হে মুমিনগণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা বুঝতে পার যা তোমরা বল এবং অপবিত্র অবস্থায়ও না, যতক্ষণ না তোমরা গোসল কর।}
[সূরা আন-নিসা:৪৩]

মুস্তাহাব গোসল
১- জুমার জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, {‘যে ব্যক্তি জুমার জন্য অজু করল সে এর দ্বারাই নেয়ামত পেয়ে গেল, আর যে ব্যক্তি গোসল করল, তবে গোসলই উত্তম।’}[বর্ণনায় আবু দাউদ] 
২- হজ্ব ও উমরার জন্য গোসল করা। যায়েদ ইবনে ছাবেত রাযি. থেকে বর্ণিত, ‘তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইহরামের উদ্দেশে কাপড় পরিত্যাগ করতে ও গোসল করতে দেখেছেন।’ (বর্ণনায় তিরমিযী)
৩- মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পর গোসল করা। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাল সে যেন গোসল করে।’(বর্ণনায় ইবনে মাজাহ)
৪- প্রতিবার সঙ্গমের পর গোসল করা। আবু রাফে রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের কাছে গমন করলেন, এবং প্রত্যেকের কাছেই গোসল করলেন। বর্ণনাকারী বলেন,‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, একবার গোসল করলেই কি হয় না? উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এটাই উত্তম, অধিক ভালো ও পবিত্রতা’।(বর্ণনায় আবু দাউদ)
যা উচিত নয়
১- জানাবতের গোসল এতটুকু দেরিতে করা যে নামাজের ওয়াক্ত চলে যায়।
২- নারীর মাসিক থেকে পবিত্র হওয়ার পর পরবর্তী ফরজ নামাজ ছেড়ে দেয়া। যদি কোনো নারী যোহরের নামাজের শেষ ওয়াক্তে পবিত্র হয় এবং এক রাকাত পড়া যাবে এমন সময় বাকী থাকে তবে তার ওপর যোহরের নামাজ ফরজ বলে গণ্য হবে এবং গোসল করে যোহরের নামাজ পড়তে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রাকাত নামাজ পেল সে ফজরের নামাজ পেল। আর যে ব্যক্তি সুর্যাস্তের পূর্বে এক রাকাত আসরের নামাজ পেল সে আসরের নামাজ পেল’।
(বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম) 

 

আরও পড়ুন- 

গোসলের সময় শরীরের কোন অংশটা আপনি প্রথম ধুয়ে থাকেন? জেনে নিন তাতে কি হয়
গোসলের সময় শরীরের কোন অংশটা আপনি প্রথম ধুয়ে থাকেন? এটা জেনেও আপনার চরিত্র সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেওয়া সম্ভব!
কি, কথাটা শুনতে বেশ আজব লাগছে, তাই তো? তবে সত্যিটা হল, বাস্তবিকই এমন করা সম্ভব! কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
শাস্ত্র মতে আমরা যা কিছুই করি না কেন, তা কোনও না কোনও মানে বহন করে। আর একবার যদি সেই মানেটা বুঝে নেওয়া যায়, তাহলে যে কোনও মানুষের মনকে পড়ে ফলতে কোনও সময়ই লাগে না। সেরকমই আমরা গোসলের সময় শরীরের কোনও অংশটা প্রথম ধুই, তা দেখেও যে কোনও মানুষের সম্পর্কে অনেক গোপন কথা জেনে নেওয়া সম্ভব। 
প্রথমটায় এমন যুক্তি মেনে নেওয়াটা বেশ কঠিন। তবে প্রাচীন সব শাস্ত্রে লেখা এই সব তথ্যকে কি এত সহজেই উড়়িয়ে দেওয়া সম্ভব? মনে তো হয় না! তাই তো এই প্রবন্ধে সেইসব নথিগুলি থেকে বাছাই করা সব তথ্য তুলে ধরা হবে, যা পড়তে পড়তে আপনি হয়তো নিজের সম্পর্কেই অনেক অজানা কিছু জেনে যাবেন। তাহলে অপেক্ষা কিসের, চলুন চোখ রাখা যাক বাকি প্রবন্ধে।
বুকের অংশ ধুলে:
এমনটা মনে করা হয় যে যারা গোসলের শুরুতেই বুকের অংশে পানি ঢালেন, তারা খুব বাস্তববাদী হন। শুধু তাই নয়, এরা মুখের উপর সত্য়ি কথা বলে দিতেও পিছপা হন না। সেই সঙ্গে এমন মানুষেরা যে কোনও কাজ খুব মন দিয়ে করতে ভালবাসেন। তবে এদের ধৈর্য খুব কম হয়।
মুখ:
গোসলের শুরুতে মুখে পানি দিলে বুঝতে হবে ওই মানুষটি টাকাকে খুব ভালবাসে এবং টাকা রোজগারের জন্য যে কোনও পর্যায়ে এরা যেতে পারে। তবে এদের চরিত্রের সব থেকে খারাপ দিক হল, নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এরা যে কোনও মানুষকে কাজে লাগাতে তৈরি থাকেন। শুধু তাই নয়, এরা নিজের ভাল ছাড়া আর কিছুই ভাবতে চান না। তাই তো এমন মানুষদের থেকে সবাই দূরে থাকতেই পছন্দ করেন।
বগলের অংশ ধুলে: 
যে সব মানুষেরা প্রথমে বগেলর অংশ পরিষ্কার করেন, তারা সাধারণত খুব কর্মঠ হন এবং এদের বিশ্বাস করলে ঠকতে হয় না। চারিত্রিক দিক থেকে এরা খুব অমায়িক হন এবং কর্মক্ষত্রে খুব সফলতা অর্জন করেন। তবে এদের চরিত্রের সবথেকে দুর্বল দিক হল, এরা সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলেন। ফলে মারাত্মকভাবে ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।ল:
গোসলের সময় চুল তো ভিজবেই, এতে আলাদ করে মানে খোঁজার কী আছে! অবশ্য়ই আছে। কারণ এমন অনেকে আছেন যারা গোসলের শুরুতে চুলে পানি দিতে পছন্দ করেন না। তাই যারা প্রথমেই চুলে পানি দেন, তাদের চরিত্র বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা হয়। এমন মানুষেরা শিল্পী মনের হন। শুধু তাই নয়, এরা বেশ ভাবুক হন। টাকার বিষয়ে তেমন একটা গুরুত্ব দিতে না চাইলেও নিজের কাজ নিয়ে এরা খুব প্যাশানেট হন। এদের কাছে কাজই ভগবান, টাকা নয়। তাই তো এমন মানুষেরা নিজের কাজ নিয়ে থাকতেই to বেশি ভালবাসেন।
গোপন অংশ: 
যারা গোসলের শুরুতেই শরীরের গোপন অংশে পানি ঢালেন, তারা সাধারণত খুব লাজুক হন। তাই তো এদের পছন্দের মানুষের সংখ্যা খুব কম হয়। প্রসঙ্গত, এদের চরিত্রের সব থেকে খারাপ দিক হল, এরা একেবারেই আত্মবিশ্বাসী হন না। ফলে কোনও কাজই ঠিক মতো করে উঠতে পারেন না। সহজে হেরে যাওয়াও এদের ধাতে থাকে। এক কথায় এমন মানুষেরা খুব দুর্বল চিত্তের হন। 
কাঁধ:
শরীরের এই অংশে যারা প্রথমে পানি দেন, তারা জীবনে অসফলতা ছাড়া আর কিছুই পান না। যে কাজই এরা করুক না কেন, তাতে এরা সফল হন না। সেই সঙ্গে জুয়া এবং মদের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি থাকার কারণে এক সময়ে গিয়ে এদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। এক কথায় বললে, জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া মানুষদের তালিকায় এদের নাম একেবারে উপরের দিকে থাকে।
অন্যান্য অংশ: 
যারা উপরে আলোচিত শরীরে অংশগুলি বাদ দিয়ে বাকি অংশে প্রথমে পানি ঢালেন, তারা সব দিক থেকেই খুব সাধারণ হন। মনের জোর এবং কর্মক্ষমতা থাকলেও সফলতা যেন এদের সঙ্গী হতে চায় না। এর কারণ হিসেবে শাস্ত্রে লেখা আছে যে এই ধরনের মানুষেরা খুব একটা সাহসী হন না। তাই তো চেনা পথের বাইরে গিয়ে কিছুই করতে চান না এরা। তাই তো এদের জীবনটা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো হয়েই থেকে যায়।
যৌন রোগের সঠিক সমাধান।লজ্জা না করে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত ঔষধে সুচিকিৎসা ও ভাল পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
(বিস্তারিত আরও কিছু জানার জন্য ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করুণ।
কলিকাতা হারবাল
হাকিম ডা: হাফেজ ক্বারী মো: মাহাবুবুর রহমান! ডি.ইউ.এম.এস, ঢাকা।এমডি ষটাডী ভারত!!
(রেজিষ্টার্ড হারবাল স্পেশালিস্ট
যৌন. চর্ম .সাস্থ্যহীনতা.মেদভুড়ি. হাঁপানি,বাত বেথা. হেপাটাইটিস (বি -ভাইরাস). অশ্ব গেজ. ও মহিলা রোগে (17 বৎসরের অভিঙ্গতা)
সরাসরি যোগাযোগের ঠিকানা: মোহাম্মদপুর বি.আর.টি.সি বাসস্ট্যান্ড আল্লাহ্ করিম মসজিদ মার্কেট ২য় তলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
হট লাইন-01763663333
ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান
ইমু নাম্বার 01971198888 বাংলাদেশের

 

আরও পড়ুন- 

আপনার সাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে  সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কলিকাতা হারবাল কেয়ার  একটি আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র।

tag: 

 কলিকাতা হারবাল  কলিকাতা হারবাল কেয়ার   কলিকাতা হারবাল ডাক্তার  kolikata herbal care kolikata herbal kolikata herbal dhaka kolikata herbal doctor kolikata herbal medicine original kolikata herbal kolikata herbal treatment kolikata herbal mohammadpur popular kolikata harbal  কলিকাতা হারবাল ঔষধ 

 
Image may contain: one or more people