ঘরোয়া স্বাস্থ্য সৌন্দর্য বাড়িতে প্রতিকার খাদ্য উদ্ভট গর্ভাবস্থা প্যারেন্টিং আধ্যাত্মিক হেল্থ নিউমোনিয়া লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ মানব সভ্যতার যুগের উন্নতি, আদি বন্য শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষে রূপান্তর। জাগতিক নিয়ম মেনে ঘরোয়া স্বাস্থ্য সৌন্দর্য বাড়িতে প্রতিকার খাদ্য উদ্ভট গর্ভাবস্থা প্যারেন্টিং আধ্যাত্মিক হেল্থ নিউমোনিয়া লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ মানব সভ্যতার যুগের উন্নতি, আদি বন্য শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষে রূপান্তর। জাগতিক নিয়ম মেনে সময় চক্রে বিবর্তন ও পরিবর্তন হলেও মানবজীবনে পিছু ছাড়ছে না মারণ রোগ। কোনও না কোনও ক্ষেত্রেই রোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে মানব জাতিকে। ক্যান্সার যক্ষা থেকে কঠিন ব্যাধি মৃত্যুশয্যায় ঠেলে দিচ্ছে বহু প্রাণকে। তেমনই এক রোগ নিউমোনিয়া। প্রতি বছর ১২ নভেম্বর 'বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস' পালন করা হয়। প্রথম বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস ২০০৯ সালের ২ নভেম্বর পালিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে দিনটি স্থানান্তরিত করে ১২ নভেম্বর করা হয়। এর মূল লক্ষ্য হল, নিউমোনিয়া সম্পর্কে মানুষকে তথ্য প্রদান এবং সচেতন করা। বর্তমান দিনে এই রোগের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সমস্ত বয়সের মানুষকেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে এই রোগে। পৃথিবীতে মৃত্যুর অষ্টম কারণ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ। কি এই নিউমোনিয়া? চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক। নিউমোনিয়া কী? নিউমোনিয়া হলো মানব শরীরের ফুসফুসের সংক্রমণজনিত বা প্রদাহ জনিত একটি রোগের নাম। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগের সৃষ্টি হয়। অ্যাডেনো ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং প্যারেনোফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণে দেখা দেয় এই রোগ। রোগের কারণ ফুসফুসে স্ট্রেপ্টোকোকাস ব্যাকটেরিয়া ও শ্বাসযন্ত্রের আর এস ভি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এই রোগের উৎপত্তি। এই সংক্রমণের ফলে ফুসফুস ফুলে ওঠে এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে, অক্সিজেন গ্রহণে সমস্যায় পড়তে হয়। এই রোগ মূলত শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। কারণ এই বয়সে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে। যার ফলে অতি সহজেই এই রোগ আক্রমণ করে। তবে তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও এই রোগের প্রবণতা দেখা যায়।
আরও পড়ুন-
রোগের লক্ষণ এই রোগের লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণত শীতকালে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা কম থাকায় নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তনে সামান্য ঠান্ডা লাগা থেকেও কেউ কেউ সহজেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সাধারণ লক্ষণগুলো হল - ১) জ্বর ২) ক্লান্তি অনুভব করা ৩) মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হওয়া ৪) কাশি ৫) শ্বাসকষ্ট ৬) শরীরে কাঁপুনি ৭) বুকে ব্যথা ৮) শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট ৯) মাথাব্যথা ১০) শরীরের মাংস পেশী ব্যথা ১১) খাওয়ার প্রতি অনীহা ১২) বমি বমি ভাব তবে, এই রোগ ছোঁয়াচে নয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচি থেকে এই রোগের জীবাণু অন্য ব্যক্তির মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। তাই রোগীর কাছে যাওয়ার সময় বা কোনও হাসপাতালে যাওয়ার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসা এই রোগের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে কী ধরনের নিউমোনিয়া রোগীকে আক্রমণ করেছে তার উপর। জ্বর, সর্দি, কাশি হলে ঘরোয়া বা সামান্য কিছু ঔষধের সাহায্যে তা সারিয়ে তোলা যায় কিন্তু এই রোগের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। এই রোগের নির্ণয় সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব। প্রাথমিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই চিকিৎসা করা উচিত। ১) জ্বর সর্দি কাশি হলে যদি কমতে না চায় তবে দুই থেকে তিন দিনের মাথায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ২) ডাক্তারের পরামর্শে সিটিস্ক্যান এবং বুকের এক্সরে করাতে হবে। ৩) সঠিক রক্ত পরীক্ষা এবং কফ বা শ্লেষ্মা পরীক্ষা করতে হবে ৪) ওষুধ চলাকালীন পাঁচ থেকে ছয় দিনের মাথায় চিকিৎসায় সাড়া না পেলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন। ৫) চিকিৎসা চলাকালীন অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স গ্রহণ করবেন ,তা না করলে ভবিষ্যতে এই রোগের চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ৬) ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ছত্রাক জাতীয় নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করুন। এটি কয়েক সপ্তাহ ব্যবহারে সংক্রমণটি ধীরে ধীরে নির্মূল হয়ে যেতে পারে। প্রতিরোধ ১) ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা নিউমোনিয়া রোগের ক্ষেত্রে খুবই খারাপ। তাই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ২) ঠান্ডা লাগা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ৩) নিউমোনিয়া প্রতিরোধক টিকা সময়মতো নিতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৪) যারা ফুসফুস ,লিভারে ও হৃদযন্ত্রের অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিউমোনিয়ার 'বুস্টার ডোজ' টিকা নিতে পারেন। ৫) ধুমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ৬) নিয়মিত শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বজায় রাখতে হবে। ৭) এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে এবং শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। ৮) অন্যের সামনে হাঁচি বা কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ৯) ডায়াবেটিস ও এইডস-এ আক্রান্ত রোগীদের নিয়মমাফিক চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ ওজন কমাবেন কীভাবে ভাবছেন! গোলমরিচেই আছে এর সমাধান বিশ্ব পেডিয়াট্রিক হাড় ও জয়েন্ট দিবস ২০১৯ : তারিখ ও থিম শিশুদের নিউমোনিয়া : কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ পারকিনসন ডিজিজ : কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সিফিলিস কী? কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ মহিলাদের ডায়াবেটিস : লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ শীতকালে সুস্থ থাকার ৯টি উপায় সুস্থ থাকতে ব্যবহার করুন তিলের তেল, জেনে নিন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা জেরোসিস কাটিস : কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা কারপাল টানেল সিন্ড্রোম : কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ রেড ওয়াইনেই আছে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান! চাফিং : কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ ওজন কমাবেন কীভাবে ভাবছেন! গোলমরিচেই আছে এর সমাধান বিশ্ব পেডিয়াট্রিক হাড় ও জয়েন্ট দিবস ২০১৯ : তারিখ ও থিম শিশুদের নিউমোনিয়া : কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ পারকিনসন ডিজিজ : কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সিফিলিস কী? কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ হারবাল ঢাকা বাংলাদেশ।সময় চক্রে বিবর্তন ও পরিবর্তন হলেও মানবজীবনে পিছু ছাড়ছে না মারণ রোগ। কোনও না কোনও ক্ষেত্রেই রোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে মানব জাতিকে। ক্যান্সার যক্ষা থেকে কঠিন ব্যাধি মৃত্যুশয্যায় ঠেলে দিচ্ছে বহু প্রাণকে। তেমনই এক রোগ নিউমোনিয়া। প্রতি বছর ১২ নভেম্বর 'বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস' পালন করা হয়। প্রথম বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস ২০০৯ সালের ২ নভেম্বর পালিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে দিনটি স্থানান্তরিত করে ১২ নভেম্বর করা হয়।
আরও পড়ুন-
আপনার সাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কলিকাতা হারবাল কেয়ার একটি আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র।
tag:
কলিকাতা হারবাল কলিকাতা হারবাল কেয়ার কলিকাতা হারবাল ডাক্তার kolikata herbal care kolikata herbal kolikata herbal dhaka kolikata herbal doctor kolikata herbal medicine original kolikata herbal kolikata herbal treatment kolikata herbal mohammadpur popular kolikata harbal কলিকাতা হারবাল ঔষধ