ছোলা বা চানা একটি ডালজাতীয় খাদ্যশস্য। এটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ। ছোলার গাছ ২০ থেকে ৫০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয় তবে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।[ ছোলার কাণ্ডের দুইপাশে পালকের মতো পাতা থাকে। একটি বীজপত্রে দুই থেকে তিনটি করে ডালবীজ থাকে। ফুলগুলি সাদা, বা কখনও কখনও লালচে নীল রঙের হয়। ক্রান্তীয় বা উপক্রান্তীয় জলবায়ু ও বাৎসরিক ৪০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টিপাত ছোলাগাছের স্বাভাবিক ফলনের জন্য জরুরি। বিশ্বব্যাপী ছোলা মূলত দুই ধরনের - দেশী ছোলা এবং কাবুলি ছোলা।ছোলা আমাদের দেশের অতিপরিচিত একটি ডাল। শুধুমাত্র রোজা আসলেই নয়, আজকাল আমরা সবসময় ছোলা খাই। ছোলায় অনেক পুষ্টি রয়েছে। এটা প্রোটিন গ্রুপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন হিসেবে পরিচিত। ছোলা শরীরের বেশ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে থাকে। এই ডালে রয়েছে উচ্চ আঁশ; তাই এটি ডাল হিসেবে অনেক উন্নত। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ছোলা খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা খুব ধীরে ধীরে বাড়লে এবং ছোলার আঁশ রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেই জন্য ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে ছোলার কোনো জুরি নেই।
আরও পড়ুন-
কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক যাবে। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করতে সাহায্য করে। আর অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।যৌনশক্তি বাড়াতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গরুত্বপূর্ণ। রাতে ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে প্রতিদিন খেলে যৌনশক্তি বাড়বে।শ্বাসনালিতে জমে থাকা পুরোনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা। ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায় ও ছোলার শাকে। ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জেনেনিন ছোলার আরও কিছু স্বাস্থ্যগুণের কথা:*ডায়াবেটিসে উপকারী: ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে। *হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে: অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। *রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয় যে যে সকল অল্পবয়সী নারীরা বেশি পরিমাণে ফলিক এসিডযুক্ত খাবার খান তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক এসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্টভাল রাখতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন-
আপনার সাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কলিকাতা হারবাল কেয়ার একটি আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র।
tag:
কলিকাতা হারবাল কলিকাতা হারবাল কেয়ার কলিকাতা হারবাল ডাক্তার kolikata herbal care kolikata herbal kolikata herbal dhaka kolikata herbal doctor kolikata herbal medicine original kolikata herbal kolikata herbal treatment kolikata herbal mohammadpur popular kolikata harbal কলিকাতা হারবাল ঔষধ