সৌন্দর্যের অপার রাজত্বের নাম হলুদ। রূপচর্চার ইতিহাসে এই উপাদানটি চিরন্তন। তাই হলুদকে পরীক্ষিত ভেষজ উপাদান বলা হয়ে থাকে। এর অনেক গুণাগুণ রয়েছে। হলুদ ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে।তবে হলুদ ত্বকে ব্যবহারের আগে এর নিয়ম জেনে নিলে কোনো রকমেরপার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। কারণ হলুদের সঙ্গে কোন কোন উপাদান মিশিয়ে সহজ ও ঘরোয়াভাবে রূপচর্চা করতে পারবেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী শাহীনা আফরিন মৌসুমীর দেয়া পরামর্শ অনুসরণ করলেই হলুদ ত্বকের অন্যতম প্রধান প্রোটিন কোলোজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। ত্বকের দৃঢ়তা বজায় রাখে, তেমনিভাবে হলুদ ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে।
এতে ভিটামিন ‘সি’ ক্যালসিয়াম ভিটামিন-৬, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামের মতো উপাদান বিদ্যমান। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াম উপাদান হিসেবে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। যার ফলে ক্ষত তাড়াতাড়ি
আরও পড়ুন-
নিরাময় হয়। আর ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।সমস্যা যেটাই হোক না কেন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ এ দু’ভাবে হলুদ ব্যবহার করা যায়। ত্বকের এমন কোনো সমস্যা নাই যা হলুদের পক্ষে ঠিক করা সম্ভব নয়। যেমন- ব্রণ, কালো দাগ, শুষ্কতা, তৈলাক্ততা কমাতে, বলিরেখা দূর করতে ইত্যাদি সব রকমের সমাধানের মাধ্যম হলুদ।যে কোনো কিছু ত্বকে ব্যবহারের আগে এর নিয়মকানুন অবশ্যই জেনে নিতে হবে। সবার ত্বকের ধরন এক নয়। ত্বকের ধরন আগে জানতে হবে। তাই যার যার ত্বকের ধরন অনুযায়ী রূপচর্চা করলে উপকার তো হবেই, পাশাপাশি ব্যবহারের ফলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হবে না। ক্ষত সারাতে হলুদের কোনো বিকল্প নেই।১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মি. ক্ষতের ওপর রেখে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বকের ক্ষত চলে যাবে।অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে হলুদ : কাঁচা হলুদ ভালো করে ধুয়ে পাতলা করে কেটে রুম টেম্পারেচারে শুকিয়ে নিয়ে ভালো ব্লেন্ড করে কাচের কনটেইনারে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন গরুর দুধের সঙ্গে হাফ চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন-
হলুদ ত্বকে ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন জেনে নিতে হবে। তাহলে সেই অনুযায়ী হলুদ ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বকের উপকার পাওয়া যাবে।হলুদের রস ত্বকে ব্যবহারের নিয়মশুষ্ক ত্বক : হলুদের রস বের করে নিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে কাচের জারে রেখে দিতে হবে। প্যাক : হলুদের রস ১ টেবিল চামচ, ২টি কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রাখি। ভালো করে পেস্ট করে নিয়ে এর সঙ্গে হাফ চা চামচ ডিমের কুসুম, ১ টেবিল চামচ ডালের গুঁড়ার বেসন মিশিয়ে নিয়ে পুরো মুখে ২০ মি. রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এতে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, বলিরেখা দূর হবে, ত্বকে টানটান বজায় থাকবে।তৈলাক্ত ত্বক : ১ টেবিল চামচ হলুদের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এর সঙ্গে পুদিনা পাতার পেস্ট ও ১ চা চামচ তুলসী পাতার পেস্ট ও ১ চিমটি কর্পূর ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে ১৫ মি. রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের জমে থাকা তৈলাক্ততা কমে যাবে ও ব্রণ থাকবে না।মিশ্র ত্বক : হলুদের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ ও ডিমের কুসুম ১ টেবিল চামচ যেন হয় দুটো মিলিয়ে। এখন এর সঙ্গে মুগ ডালের বেসন মিশিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে।যে হলুদে কারকিউমিনের পরিমাণ বেশি সেই হলুদের ঔষধি গুণও বেশি থাকে। হলুদ আবার কখনও কখনও শক্তির কারণও হয়ে দাঁড়ায়। যে হলুদে সিসার পরিমাণ বেশি থাকে সে হলুদ ক্ষতিকর। তাই হলুদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক সতর্কত অবলম্বন করা খুবই জরুরি
আরও পড়ুন-
আপনার সাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কলিকাতা হারবাল কেয়ার একটি আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র।
tag:
কলিকাতা হারবাল কলিকাতা হারবাল কেয়ার কলিকাতা হারবাল ডাক্তার kolikata herbal care kolikata herbal kolikata herbal dhaka kolikata herbal doctor kolikata herbal medicine original kolikata herbal kolikata herbal treatment kolikata herbal mohammadpur popular kolikata harbal কলিকাতা হারবাল ঔষধ