বাংলাদেশ উষ্ণ-অবউষ্ণ জলবায়ুর দেশ। এ দেশে প্রায় ৭০ রকমের ফল জন্মে। ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু খাবার। ফল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অন্যতম উৎস। এটা রান্না ছাড়া সরাসরি খাওয়া যায় বিধায় বিদ্যমান পুষ্টিমান সবটুকুই দেহ গ্রহণ করতে পারে। এ সমস্ত উপাদান মানব দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশে মাথাপিছু দৈনিক ফলের প্রাপ্যতা মাত্র ৩৫ গ্রাম যা পুষ্টি বিজ্ঞানীদের সুপারিশকৃত নুন্যতম চাহিদার এক তৃতীয়াংশেরও কম। একদিকে নগরায়ন, শিল্পায়ন ও বসত বাড়ীর জন্য প্রতি দিন ২২০ হেঃ হিসাবে বছরে প্রায় ৮৩,০০০ হেঃ আবাদী জমি কমে যাচ্ছে, অপরদিকে জ্যমিতিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মিটানো বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা ঃ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে যখন সকল জনসাধারণ সর্বদাই সুস্থ ও কর্মঠ জীবন যাপনের জন্য দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা ও পছন্দসই খাদ্য সংগ্রহের জন্য পর্যাপ্ত, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে, সে অবস্থাকেই খাদ্য নিরাপত্তা বলা হয়।
আরও পড়ুন-
পুষ্টি নিরাপত্তা বলতে পরিবারের সকলের জন্য সুষম খাদ্য হিসাবে পর্যাপ্ত আমিষ, ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং নিরাপদ পানীয় এর সরবরাহকে বুঝায়। যে খাদ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব কয়টি উপাদান পরিমাণমত থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলা হয়। কোন একটি খাদ্যে এসব উপাদান সমপরিমাণ থাকে না বলেই বিভিন্ন খাদ্য খেয়ে মানুষের দেহের চাহিদা মেটাতে হয়। আর খাদ্যের মধ্যে এসব পুষ্টি উপাদান সঠিক পরিমাণে না থাকলে মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে এবং বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ব্যহত হয়। উচচ পুষ্টি সম্পন্ন বিভিন্ন ধরনের প্রচলিত এবং অপ্রচলিত ফলের উন্নত জাত চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করে সুষম খাদ্যের চাহিদা পূরণ করা যায়। তবে কেবলমাত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। উৎপাদন বৃদ্ধি সত্ত্বেও মানুষ খাদ্য ও পুষ্টিহীনতার শিকার হয়। তার বড় কারণ ক্রয়ক্ষমতার অভাব এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩০% লোক দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন শিক্ষার সাথে কৃষির শিল্পায়ন। অর্থাৎ কৃষিজাত দ্রব্যাদির উপর ভিত্তি করে অমৎড়-নধংবফ শিল্প গড়ে তোলা। এ ছাড়া উৎপাদন ঝঁংঃধরহ ্ ঝঃধনষব করার জন্য বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সর্বোপরি উৎপাদিত দ্রব্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ।পুষ্টি ঘাটতি জনিত সমস্যা ও খাদ্যের গ্রহণ মাত্রাঃ খাদ্য গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য কেবলমাত্র বেঁচে থাকা নয় বরং সুস্থ সবল ও কর্মক্ষম হয়ে বেঁচে থাকা। শর্করা, আমিষ, তেল, খাদ্যপ্রাণ/ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাবে মানুষের অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অধ্যাপক মোহাম্মাদ হোসেন এর মতে এদেশে অপুষ্টিজনিত সমস্যাগুলো ১. শতকরা ৫০ ভাগ শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ২. ০-৫ বছর বয়স্ক শতকরা ৭৫ ভাগ শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগে।৩. শতকরা ৭৫ ভাগ মহিলা ও শিশু এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা রোগে ভুগছে।
আরও পড়ুন-
আপনার সাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কলিকাতা হারবাল কেয়ার একটি আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র।
tag:
কলিকাতা হারবাল কলিকাতা হারবাল কেয়ার কলিকাতা হারবাল ডাক্তার kolikata herbal care kolikata herbal kolikata herbal dhaka kolikata herbal doctor kolikata herbal medicine original kolikata herbal kolikata herbal treatment kolikata herbal mohammadpur popular kolikata harbal কলিকাতা হারবাল ঔষধ